ফটোশপের দুনিয়া পর্বে ফটোশপ এর ওস্তাদ হয়ে যান.......................

ফটোশপের দুনিয়া  :: মহাকাশ তৈরি

আসসালামু ওয়ালাইকুম। আজ থেকে আমি ফটোশপের যাদু শীর্ষক চেইন টিউন করা শুরু করছি। আমি এখানে আমার জানা ফটোশপের কিছু কাজ শেয়ার করব। আসলে ফটোশপ এমন একটা জিনিস যার কাজ বলে শেষ করা যায় না। আপনি যতই এর সম্পর্কে অভিজ্ঞতা লাভ করবেন ততই আপনার মনে হবে ফটোশপ এর দুনিয়ায় আপনি এখনও বাচ্চা। আমি তেমনই একজন অনভিজ্ঞ ফটোশপের ছাত্র। টিউনে কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন।

টিউনে কোন কমেন্ট না করলে টিউন করার ইচ্ছা থাকেনা। আশাকরি সবাই কমেন্ট করবেন। আজ প্রথম পর্বে আমি দেখাব কিভাবে ফটোশপের সাহায্যে মহাকাশ তৈরি করা যায়। তো চলুন শুরু করা যাক।
প্রথমে ফটোশপ ওপেন করুন।। :p :p :p
নিউ থেকে একটা সাইজ সিলেক্ট করেন, আমি ১৩৬৬X৭৬৪ নিয়েছি।
এবার foreground color কালো (black) নেই, এবং Alt+Delete প্রেস করি, তাহলে পুরো ইমেজটা কালো হয়ে যাবে। এই কাজটা পেইন্ট টুলের সাহায্যেও করা যায়।
এবার ফিল্টার এ গিয়ে Noise থেকে Add noise এ ক্লিক করি।
নয়েজের অপশন থেকে gaussian এবং নিচ থেকে মMonochromatic এ টিক চিহ্ন দিন।
এবার ফিল্টার থেকে Blur > Gaussian Blur এ যান।
এখান থেকে Radius .2 করে দিন।
এবার Ctrl+L প্রেস করুন অথবা image> Adjustments>Levels এ যান।
এবার উপরের ছবি অনুসারে সেটিংস সেট করুন।
তারপর foreground color নীল নিন।>>>
এবার নতুন একটা লেয়ার নিন এবং নিউ লেয়ারে ব্রাশ টুলের সাহায্যে নিচের মত ড্র করুন।
এবার গোলাপি কালার নিয়ে নীল কালারের মাঝে ছবির মত ড্র করুন। কাজটা কিন্তু একই লেয়ারে করতে হবে।
এবারে একই লেয়ারের মাঝে সাদাটে হলুদ রঙ দিয়ে মাঝখানে কয়েকটা ডট দিন, নিচের স্ক্রীন শট লক্ষ্য করুন।
এবার ফিল্টার থেকে ব্লার থেকে gaussian blure সিলেক্ট করুন, রেডিয়াস ১১৫ করে দিন।
এবারে নতুন আর একটা লেয়ার নেই>>
এবার Filter>Render>Clouds এ ক্লিক করুন>
এবারের এই লেয়ারের Blending Mode>> Color Dodge করে দিন। না পারলে স্ক্রীন শট দেখুন।
এই রকম আসবে।
এবার মহাকাশ তো হল কিন্তু মহাকাশে গ্রহ না থাকলে হয়? তাই চলুন এবার গ্রহ বানানো যাক।
নতুন একটা লেয়ার নেন। Elliptical tool এর সাহায্যে একটা বৃত্ত আঁকি।
এবার layer > layer style থেকে inner Shadow এ যান, তারপর নিচের স্ক্রীন শট এর মত করে সেটিং করুন।
এবারে এইরকম দেখতে হবে।>>>
এখন এই গ্রহটা নতুন একটা লেয়ারে কপি করি। এর সাইজ আগের থেকে একটু কমিয়ে ফেলি এবং লেয়ার স্টাইল প্রয়োজনমত বদলাই।
এবার ব্রাশের সাহায্যে দুই গ্রহের মধ্যে একটা সংযোগের মত তৈরি করতে পারি, সবার শেষে আমরা মহাকাশ তৈরি করে ফেললাম।
আমি ফটোশপ এবং ইলেস্ট্রাটরের সাহায্যে নিচের স্টাইলি লেখাটা বানিয়েছি। কেমন হল কমেন্টে জানাবেন>>

ফটোশপের দুনিয়া :: উধাও করো যে কোন কিছু Introducing Photoshop Vanishing Point (ভিডিও টিউন)

আজ আমি ফটোশপের দুনিয়া শীর্ষক চেইন টিউনের ২ নাম্বার পর্বে ফটোশপের Vanishing Poit টুল নিয়ে আলোচনা করব। এই নতুন ফিচারটি ফটোশপের ৭.০ ভার্শনে নেই। এটির সাহায্যে ছবিতে থাকা যেকোন বস্তুকে রিমুভ করে ফেলা যায়। আসলে এর কাজ বোঝার জন্য ভিডিও টিউটরিয়ালই বেশী উপযোগী।
আমি এই টিউটোরিয়ালে একটা ছবি থেকে একটা নিদ্রিষ্ট বস্তুকে কিভাবে সরিয়ে ফেলা যায় তা নিয়ে আলোচনা করব। ফটোশপ ৭.০ তে আমরা এই কাজটি স্ট্যাম্প টুলের সাহায্যে করতে যাই কিন্তু সমান্তরালভাবে প্রকৃতিতে বস্তুটি না থাকলে সেই রিমুভ করা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। তবে আমরা ফটোশপ এর লেটেস্ট ভার্শনে এই কাজটি বেশ সহজেই করতে পারব।
আমি টিউটোরিয়ালে এই ছবিটি ব্যবহার করেছি>> আপনারা চাইলে প্রাকটিস করার জন্য এই ছবিটি সংগ্রহে রাখতে পারেন।
এই ছবি থেকে কুকুরের পাশের ব্রাশ ও পাইপ সরাতে হবে। তো চলুন দেখা যাক কিভাবে এটা করা যায়। ও হ্যাঁ এটা আমার ফটোশপের প্রথম টিউটরিয়াল কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। আশাকরি যারা এই ভিডিওটি দেখবেন তারা একটা লাইক দিবেন।

ভালো লাগলে সবার কমেন্ট আশা করছি। ধন্যবাদ!

ফটোশপের দুনিয়া [পর্ব : লেখায় গ্লাস ইফেক্ট দিন সহজেই

আজ ফটোশপের দুনিয়া চেইনটিউনের তৃতীয় পর্বে আমি দেখাব কিভাবে কোন লেখায় গ্লাসের মত ইফেক্ট দেওয়া যায়। আমি আগের পর্বে ফটোশপ সি সি এর ভ্যানিশিং পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। এবারের প্রজেক্টে আমি লেয়ার স্টাইলে বেশি কাজ দেখাবো। গ্লাস ইফেক্ট দিতে লেয়ার স্টাইলে অনেক গুলো পরিবর্তন আনতে হবে। এই একটা প্রোজেক্টেই লেয়ার স্টাইলের কাজগুলো মোটামুটিভাবে বোঝা যাবে।
এই প্রজেক্টে এই ব্যাকগ্রাউন্ড ইমেজ ব্যবহার করা হয়েছে, আপনারা চাইলে এটি ব্যবহার করতে পারেন।
ধাপ ৩: প্রথমে একটি টেক্সট লেয়ার তৈরি করতে হবে। এবারে টাইপ টুলের সাহায্যে আমাদের লেখাটা টাইপ করি। এই টিউটোরিয়ারে Wow লেখাটা ব্যবহার করা হয়েছে।
ধাপ ৪: এই টেক্সট লেয়ারটি অবশ্যই সবার উপরে রাখতে হবে। এবার Menu > Layer > Layer Style > Blending Options এইখানে যাই এবং টেক্সট লেয়ারে নিচের সেটিংস ব্যবহার করি।
undefined
ধাপ ৫: এবারে আগের লেয়ারের একটি ডুপ্লিকেট লেয়ার তৈরি করতে হবে। লেয়ারটি সিলেক্ট করে Layer > Duplicate এখানথেকে ডুপ্লিকেট লেয়ার ক্রিয়েট করতে হবে। এই নতুন লেয়ারের আমরা যেকোন একটা নাম দিতে পারি। এবার Layer > Layer Style > Clear Layer Style থেকে লেয়ারের স্টাইলগুলো রিমুভ করে ফেলব কারন এই নতুন লেয়ারে নতুন স্টাইল ব্যবহার করতে হবে। এবার Layer > Layer Style > Blending Options এখান থেকে নিচের সেটিংস অনুসারে সেট করতে হবে। এই লেয়ারটি মাঝবরারবর রাখতে হবে।
undefined
ধাপ ৬: এবারে আরো একটা লেয়ার করতে হবে। এবার আমাদের সেকেন্ড লেয়ারটাকে ডুপ্লিকেট করতে হবে। দ্বিতীয় লেয়ারটি সিলেক্ট করে Menu > Layer > Duplicate layer এখানথেকে লেয়ারটির ডুপ্লিকেট তৈরি করি। এটারও আমরা একটা পছন্দমত নাম দিয়ে নিতে পারি। আবার Layer > Layer Style > Clear Layer এখানথেকে লেয়ারের স্টাইলগুলো রিমুভ করে ফেলি। Finally go to Menu > Layer > Layer Style > Blending এখানে নিচের চিত্রের মত সেটিংস করি। অবশ্যই সেটিং করার শেষে যেন ওকে প্রেস করতে ভুলে না যাই।
undefined
সর্বশেষে আমরা এই ছবিটা পেলাম।
ধন্যবাদ দেখাহবে আগামি টিউনে।

ফটোশপের দুনিয়া  :: বিভিন্ন ধরনের ফটো সাইজ সম্পর্কে পরিচিতি ( Photo Size)

আজ আমি ফটোশপের দুনিয়া শীর্ষক চেইন টিউনের চতুর্থ পর্বে ফটো সাইজ নিয়ে আলোচনা করব।
আমরা অনেকেই ফটোশপের কাজ জানি, কিন্তু আমরা যেকোন সামান্য ফটো প্রিন্টিংএর কাজের জন্যও দোকানের শরানাপন্য হই। আমরা ফটোশপের কাজ জানি, আমাদের অনেকেই কাছেই ভালো মানের ক্যামেরা আছে, কিন্তু সেটা দোকান থেকে প্রিন্ট করাতে গেলে খরচ অনেক বেশি পরে এবং ওইসব দোকানের প্রিন্টারের প্রিন্ট আউটও তেমন ভালো পাওয়া যায় না। আমরা এক্ষেত্রে কেন আশেপাশের কোন ফটো ল্যাবে যাচ্ছি না?
আমি আগে আমার কোন ছবি প্রিন্ট করার প্রয়োজন হলে আশেপাশের দোকানের প্রিন্টারে যেতাম, কিন্তু তেমন ভালো মানের ছবি পেতাম না, অন্যদিকে তারা আবার খরচও বেশি রাখত। আমি আমার পাশের ফটোল্যাবের সাথে পরিচিত হয়ে যানতে পারলাম যে ওইখানে ছবির মান অনেক ভালো এবং একটা 3R ছবি মাত্র ৬ টাকা।
কিন্তু ৩R ছবি কি? ফটোল্যাবে সাধারণত পাইকেরি কাজ হয় তাই তারা কোন ছবি এডিট করে না। এই রকম ল্যাবের প্রিন্ট সাইজ নিদ্রিষ্ট।
একটা 3r সাইজের কাগজে ৪টা পাসপোর্ট সাইজের ছবি ধরে। তার মানে আপনি যদি আগে থেকে ক্যামেরায় তুলে রাখা কোন ছবি পাসপোর্ট আকারে প্রিন্ট করাতে চান তাহলে ৪টা ছবি আপনি মাত্র ৬ টাকায় প্রিন্ট করাতে পারবেন।
তো চলুন ফটো ল্যাবের ও অন্যান্য ফটোসাইজের সাথে পরিচিত হই।
১। পাসপোর্ট সাইজঃ এই সাইজ একটা প্রচলিত কথা, আসলে পাসপোর্ট সাইজ বলতে আমি ইন্টারনেটে কোন সাইজ পাইনি। বাংলাদেশে পাস্পোর্ট সাইজ বলতে যেটা বোঝানো হয় সেটা হল= উচ্চতা= ২ ইঞ্চি , প্রস্থঃ ১.৬ ইঞ্চি। অনেক স্থানে এর হাল্কা কম বেশী সাইজের প্রিন্ট হয়ে থাকে।
২। 3r সাইজঃ 3r সাইজ ফটোল্যবে বহুল ব্যবহৃত হয়। ফটোল্যাবে 3r সাইজের একটা ফটোর মুল্য ৫-৬ টাকা বা এর কাছাকাছি। 3r সাইজ হল = উচ্চতাঃ ৫ ইঞ্চি, প্রস্থঃ ৩.৫ ইঞ্চি।
৩। 4r সাইজঃ 4r সাইজ সাধারণত একটা ছবি প্রিন্টের জন্যই ব্যবহৃত হয়। ল্যাবে একটা 4r সাইজের ফটো প্রিন্টের খরচ ৭-৮ টাকা। 4r সাইজ হল= উচ্চতাঃ ৪ ইঞ্চি, প্রস্থঃ ৬ ইঞ্চি।
৪। 5r সাইজঃ এই সাইজের ফটো মিডিয়াম প্রকৃতির। ল্যবে এর সম্ভাব্য প্রিন্ট মুল্য ২৫ টাকা বা এর কাছাকাছি। এর সাইজ হল = উচ্চতাঃ  ৫ ইঞ্চি, প্রস্থঃ ৭ ইঞ্চি।
৫। 6r সাইজঃ এই সাইজের ছবি তুলনামুলকভাবে একটু বড়। ফ্রেমের ছবির জন্য অনেকেও এই সাইজ ব্যবহার করে। ফটোল্যাবে এই সাইজের একটা ছবির আনুমানিক প্রিন্ট খরচ ৫০ টাকা বা এর কাছাকাছি। এর সাইজ হল = উচ্চতা ৬ ইঞ্চি, প্রস্থঃ ৯ ইঞ্চি।
৬। 8r সাইজঃ এই সাইজটা আগের তুলনায় আরো একটু বড়। 8r সাইজ হল= উচ্চতাঃ ৮ ইঞ্চি, প্রস্থঃ ১০ ইঞ্চি।
৭। 8L সাইজঃ 8L সাইজের ফটো অনেকে দেয়ালে টানিয়ে রাখে।  এটার সাইজ  = উচ্চতা ৮ ইঞ্চি, প্রস্থঃ ১২ ইঞ্চি।
সাধারণত ফটোল্যাবে এই কয়টা সাইজ বেশি ব্যবহৃত হয়। এছারাও আরো সাইজ ব্যবহার করা হয়, সেগুলো হলঃ
  • 10R সাইজ: উচ্চতাঃ ১০ ইঞ্চি, প্রস্থঃ ১২ ইঞ্চি
  • 10L সাইজঃ উচ্চতাঃ ১০ ইঞ্চি , প্রস্থঃ ১৫ ইঞ্চি
  • 12R সাইজঃ উচ্চতাঃ ১২ ইঞ্চি, প্রস্থঃ ১৬ ইঞ্চি
  • 12L সাইজঃ উচ্চতাঃ ১২ ইঞ্চি, প্রস্থঃ ১৮ ইঞ্চি
  • 16R সাইজঃ উচ্চতাঃ ১৬ ইঞ্চি, প্রস্থঃ ২০ ইঞ্চি
  • 20R সাইজঃ উচ্চতাঃ ২০ ইঞ্চি, প্রস্থঃ ২৪ ইঞ্চি
  • 20L সাইজঃ উচ্চতাঃ ২০ ইঞ্চি, প্রস্থঃ ৩০ ইঞ্চি
উপরের এই সাইজগুলো ফটো প্রিন্টিংএর জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আরো অনেক ধরনের সাইজ রয়েছে। আমরা এই অন্য সাইজগুলো সহযেই ফটোশপের সাহায্যে পেয়ে থাকি। তবেউপরের সাইজগুলো ফটোশপে নাম অনুসারে দেওয়া নেই তাই আমি এই সাইজগুলোর সাথে আপনাদের পরিচয় করালাম।

ফটোশপের দুনিয়া :: টুডি ছবিকে রুপ দিন থ্রিডিতে

আজ ফটোশপের দুনিয়া শীর্ষক চেইন টিউনের পঞ্চম পর্বে আমি দেখাব টুডি ছবিকে কিভাবে টুডির ভিতরেই থ্রিডির রুপ দেওয়া যায়। এই কাজে আমি কোন এক্সট্রা ৩ডি অপশন ব্যবহার করব না, তাই এই কাজটি যেকোন ভার্শনের ফটোশপে করা যেতে পারে। তো চলুন দেখাযাক কিভাবে এটা করা যায়।
আমি এই টিউটোরিয়ালে একটা বাঘের ছবি ইউস করেছি। প্রথমে ছবিটা ফটোশপে ওপেন করি।
এখানে একটা আক্রমনরত বাঘের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা লেয়ার প্যালেটে একটা Background নামে লেয়ার পাবো , আমরা এটাকে রিনেম করে নামটা চেঞ্জ করে নিতে পারি।
ব্যাকগ্রাউন্ড লেয়ারে ডাবলক্লিক করলেই আমরা এমন একটি ডায়ালোবক্স পাবো, এখান থেকে ইচ্ছামত নাম দিয়ে দিতে পারি।
নতুন একটা লেয়ার নেই।
উপরের চিত্রের মত অংশটুকু সিলেক্ট করি।
ফরগ্রাউন্ড কালার সাদা নিয়ে Alt+ Delete প্রেস করে সিলেক্টেড থাকা অংশটুকু সাদা রঙ দিয়ে পূর্ন করি। এখানে সাদা বাদে অন্য কালারও ব্যবহার করা যাবে, বর্ডার স্টালের প্যাটার্নও ব্যবহার করা যাবে।
এবার আবার ওই লেয়ারের মাঝের সদা অংশটুকু এমনভাবে ডিলিট করি যাতে এটা একটা বর্ডারের মত দেখায়।
এবার Ctrl+T প্রেস করি অথবা এডিট থেকে Free Transform সিলেক্ট করি। এবার Ctrl চেপে ধরে চিত্রের ন্যায় লেয়ারের একপাশের অংশ উপর নিচ থেকে সরু করে দেই। ঠিকমত হয়ে গেলে এন্টার প্রেস করি।
এবার টাইগার লেয়ার সিলেক্ট করে, উপরের অনুসারে অংশটুকু পেন টুলের সাহায্যে সিলেক্ট করি।
পেন টুলের সাহায্যে সিলেকশন হয়ে গেলে রাইট ক্লিক করে Make Selection থেকে Feather Radius 2 Pixels করে দেই।
সিলেক্ট করা হয়ে গেলে Ctrl+Shift+I প্রেস করে অথবা Select থেকে Inverse সিলেক্ট করে , অংশটুকুর বাহিরের অংশ সিলেক্ট করতে পারি।
এবারে Delete প্রেস করে লেয়ারের বাইরের অংশটুকু ডিলিট করে দেই।
সাদা কালার দিয়ে বাইরের অংশটুকু পূরণ করে দিতে পারি।
এবারে লেয়ার 1 সিলেক্ট করে চিত্রের মত সাদা অংশটুকু রিমুভ করে দেই।
এবারে Layer 1 এবং Tiger লেয়ার Merge করে দেই।
নতুন লেয়ারের লেয়ার স্টাইল থেকে Drop Shadow থেকে উপরের মত সেটিংস করে নেই।
লেয়ারটিকে রেটারসাইজ করে নেই।
আরো একটা ছবিকে এমন স্টাইল দিতে পারি।
আগের মতই একটা নতুন লেয়ার নিয়ে একটা বর্ডার ক্রিয়েট করি।
আবারো Free Transform থেকে উপরের মত প্রসেসটি করে নেই।
Dog লেয়ারে উপরের মত অংশটুকু সিলেক্ট করে নেই।
আগের মতই বাইরের অংশটুকু ডিলিট করি।
Eraser Tool দিয়ে মাঝের সাদা অংশটুকু সাবধানতার সাথে ডিলিট করি।
বর্ডার লেয়ার ও ডগ লেয়ার মার্জ করি, এবং নতুন মার্জ করা লেয়ারের লেয়ার স্টাইল আগের বাঘের লেয়ার স্টাইলের মত সেট করি।
এখন ব্যকগ্রাউন্ড কালারটা চেঞ্জ করে একটা গ্রেডিয়ান্ট কালার দিতে পারি।
এভাবেই আমরা একটা টুডি ছবিকে টুডির ভিতরেই থ্রিডির লুক দিতে পারি। ধন্যবাদ!

ফটোশপের দুনিয়া  :: ফটোশপের সাহায্যে সূর্য তৈরি করুন সহজেই ( Making of Sun )

আমি এস কে মিরাজ। আজ আমি ফটোশপের দুনিয়া শীর্ষক চেইন টিউনের ষষ্ঠ টিউনে দেখাব কিভাবে ফটোশপের সাহায্যে সূর্য তৈরি করা যায়। আমি এই টিউটোরিয়ালে Adove Photoshop CC ব্যবহার করেছি , অন্য ভার্শনগুলোতে ফাংশনের সামান্য পরিবর্তন থাকতে পারে। চলুন দেখাযাক কিভাবে ফটোশপের সাহায্যে সূর্য তৈরি করা যেতে পারে।
প্রথমে ফাইল থেকে নিউ একটা ডকুমেন্ট নেই। ডকুমেন্টের সাইজ উপরের মত করে সেট করি।
ফরগ্রাউন্ড কালার কালো রেখে কিবোর্ডের Alt+Delete প্রেস করি। এতে পুরো পেজটি কালো হয়ে যাবে।
এবার Elliptical Tool এর সাহায্যে Shift+Alt চেপে ধরে মাঝবরাবর নিচের মত করে বৃত্তাকারে অংশটুকু সিলেক্ট করি।
এবারে নতুন একটা লেয়ার নেই।
এই লেয়ার সিলেক্ট থাকা অবস্থায় Filter>Render>Clouds এই ফিল্টারটি অ্যাপ্লাই করি।
এবারে আবারো Filter>Render>Difference Clouds এই ফিল্টারটি অ্যাপ্লাই করি।
এবারে Ctrl+F সাতবার প্রেস করি, এতেকরে এই ফিল্টারটি আরো সাতবার অ্যাপ্লাই হবে। সাতবার অ্যাপ্লাই হবার পরে নিচের মত দেখতে হবে!
এবারে Adjustment layer থেকে Gradient Map সিলেক্ট করি।
এবারে গ্রেডিয়েন্ট এডিটর থেকে নিচের মত সেটিংস করুন।
এবারে লেয়ার 1 সিলেক্ট করে Filter>Distort>Spherize এই ফিল্টারটি অ্যাপ্লাই করি।
মুড নরমাল রেখে Amount 100 করে ওকে প্রেস করি।
Ctrl+F প্রেস করে এই ফিল্টারটি আবার অ্যাপ্লাই করি।
Free Transform করে (press Ctrl+T) সাইজটা একটু কমিয়ে নেই।
এবারে উপরের দুই মার্জ করে নেই।
এবারে নতুন মার্জকৃত লেয়ারের একটা ডুপ্লিকেট লেয়ার তৈরি করি।
এবারে মাঝের লেয়ারে Filter>Blur>Radial Blur এই ফিল্টারটি অ্যাপ্লাই করি।
Amount=100, Blur Method=Zoom, quality = best রেখে ওকে করি।
এরকম দেখতে আসবে!
এবারে ব্যাকগ্রাউন্ড লেয়ারে ডাবলক্লিক করে এটাকে একটা নাম দিয়ে সাধারন লেয়ারে পরিনত করি।
Filter>Noise>ADD Noise ফিল্টারটি অ্যাপ্লাই করি, এবং নিচের মত সেটিংস করি।
Filter>Blur>Gaussian Blur এই ফিল্টারটি নিচের মত সেটিংস করে অ্যাপ্লাই করি।
Ctrl+L প্রেস করে নিচের মত সেটিং করে অ্যাপ্লাই করি।
এবারে উপরের লেয়ারের একটা ডুপ্লিকেট লেয়ার তৈরি করি এবং এর নাম Main দেই।
এবারে Gradient Map 1 copy লেয়ারের লেয়ার স্টাইল নিচের মত সেট করি।
এবার এই লেয়ার স্মার্ট অবজেক্ট এ রুপান্তরিত করি।
এবারে এই লেয়ারে Filter> Blur > Gaussain Blur এই ফিল্টারটি নিচের মত সেটিংস এ অ্যাপ্লাই করি।
আবার এই লেয়ারে Outer Glow লেয়ার স্টাইল অ্যাপ্লাই করি। নিচের মত করে।
এইরকম হবে…।।
এবারে Main লেয়ারে লেয়ার স্টাইল থেকে inner Glow ইফেক্টটি নিচের মত করে অ্যাপ্লাই করি, এতে করে sun এর কিনারা আরো উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
এবারে smudge tool এর কাজ। এই টুলটা সিলেক্ট করে strength 50% করে , ব্রাশের সাইজ সুবিধামত নিতে, সুর্যের কিনারার কাছের উজ্জ্বল অংশগুলো নিচের মত করে উপরে উঠিয়ে দিতে হবে। সূর্যের মাঝে মাঝে এরকম দেখা যায়।
আরেকটু সুন্দর করার জন্য কালার ব্যালেন্স করে আরো উজ্জ্বল করতে পারি।
ফাইনাল ছবি।
এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ! এতক্ষন যারা সঙ্গে ছিলেন তারা পারলে কমেন্ট বক্সে মন্তব্য করবেন।
পরবর্তিতে আবার আসবো কোন নতুন টিউন নিয়ে।
Share on Google Plus

About Unknown

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন